বাংলাদেশকে একটি জ্বালানি সচেতন জাতি হিসেবে গড়ে তোলার জন্য দেশের নতুন প্রজন্মকে জ্বালানি দক্ষতা ও সাশ্রয় সম্পর্কে সচেতন করার কোন বিকল্প নেই। দেশের নতুন প্রজন্ম যদি এ বিষয়ে সচেতন হয় তবে তারাই ভবিষ্যতে প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনকে জ্বালানি সাশ্রয় ও দক্ষতা সম্পর্কে সচেতন করে তুলবে। এ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে জ্বালানি সাশ্রয় ও জ্বালানি দক্ষতার বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির অংশ হিসেবে স্রেডা কর্তৃক পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশের সকল বিদ্যালয়ে "জ্বালানি সাশ্রয়ে জনসচেতনতামূলক স্কুলিং প্রোগ্রাম" আয়োজন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এর ফলে শিক্ষার্থীরা নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার ও জ্বালানি সাশ্রয়ী সামগ্রী ব্যবহারের সুফল সম্পর্কে অবগত হয়। এ লক্ষ্যে স্রেডা কর্তৃক বিভিন্ন ধরনের সচেতনতামূলক প্রোগ্রাম নিয়মিত আয়োজন করা হচ্ছে। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে স্রেডা কর্তৃক ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্কুলসহ দেশব্যাপী প্রায় ৪০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের সচেতনামূলক প্রোগ্রাম আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত স্কুলিং প্রোগ্রামগুলোতে স্কুলের শিক্ষার্থীদের জ্বালানি সাশ্রয় বিষয়ক উপস্থাপনা ও ভিডিও প্রদর্শন, বিভিন্ন জ্বালানি সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতির জ্বালানি দক্ষতার তুলনামূলক চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এছাড়াও জ্বালানি সাশ্রয় বিষয়ক উপস্থিত বক্তৃতা ও কুইজ প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়। এই ধরনের সচেতনতামূলক প্রোগ্রামে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জ্বালানি দক্ষতা ও সাশ্রয় বিষয়ে বাস্তব অভিজ্ঞতা প্রদানের পাশাপাশি জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য উৎসাহিত করা হয়ে থাকে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন শ্রেণির জাতীয় পাঠ্যপুস্তকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও জ্বালানি সাশ্রয় বিষয়ক পাঠ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে শিক্ষার্থীরা নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার ও জ্বালা সাশ্র্রয়ী সামগ্রী ব্যবহারের সুফল সম্পর্কে অবগত হচ্ছে। বিবেচ্য বছর কোভিড ১৯ সংক্রমণ বিবেচনায় স্কুল/কলেজ বন্ধ থাকায় এ প্রোগ্রাম আয়োজন করা সম্ভব হয় নি।