সোলার হোম সিস্টেমের (SHS) মাধ্যমে গ্রামীন এলাকার মানুষদের বিদ্যুতের ব্যবহার বাংলাদেশে দিনদিন জনপ্রিয় হচ্ছে। বাতির জন্য কেরোসিনের ব্যবহার এবং ব্যাটারি চার্জ করার জন্য ডিজেলের ব্যবহারকে পরিবর্তন করে পিভি প্যানেল ব্যবহার করে সোলার হোম সিস্টেম বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। বাংলাদেশের যেসকল গ্রামীন এলাকায় বিদ্যুৎ নেই সেসকল এলাকায় ক্লিন এনার্জির ব্যবহার নিশ্চিত করতে সোলার হোম সিস্টেম কর্মসূচী শুরু করা হয়েছে। এই কর্মসূচী আগামী ২০২১ সালের মধ্যে সকলের জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন করার জন্য সরকারের রুপকল্পের পরিপূরক।
বাংলাদেশের অফ-গ্রিড গ্রামীণ এলাকায় ইডকল কর্মসূচীর আওতায় ইতোমধ্যে প্রায় ৬ মিলিয়ন সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে এবং প্রায় ১৩ মিলিয়ন সুবিধাভোগী সৌরবিদ্যুৎ পাচ্ছে। এই কর্মসূচীর আওতায় প্রতি মাসে ৬৫,০০০ এর বেশী সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন করা হচ্ছে যা প্রতি বছর গড়ে ৫৮% হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই কর্মসূচী প্রতি বছর ২২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ১৮০০০০ টন কেরোসিনের প্রতিস্থাপন করছে। তাছাড়া এই কর্মসূচীর সাথে প্রায় ৭০০০০ মানুষ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত।
অন্যতম বৃহত্তম এবং দ্রুতবর্ধনশীল অফ-গ্রিড নবায়নযোগ্য কর্মসূচী হিসেবে এই কর্মসূচী বিশ্বে সুনাম অর্জন করেছে।